বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (ডুটা) কার্যকরী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদের সদস্য ছাড়াও প্রায় ১০০ শিক্ষকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছে সমিতির নেতারা। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবায় অধিক আর্থিক বরাদ্দ যেমন প্রয়োজন হবে, তেমনি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবসহ আর্থিক ও সামাজিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ার বিরুদ্ধেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
লকডাউনের প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দৈনিক খেটে-খাওয়া হতদরিদ্র শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়তে আরম্ভ করেছে। ভবিষ্যতে এর ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। সরকার হতদরিদ্র, প্রান্তিক জনগাষ্ঠেী ও খেটে-খাওয়া মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকেও এগিয়ে আসার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সমাজের অগ্রসর মানুষ হিসেবে এই চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরও জোরালো ভূমিকা নেওয়ার আজ প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘চারদিকে যখন সবাই গৃহাভ্যন্তরে দিন কাটাচ্ছি, এ সময় এই মানবিক সহায়তার সঠিক প্রয়োগ ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তা প্রদান করাই যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমরা মনে করি। এ অর্থ আগামী ৪ মাসে প্রদেয় বেতন থেকে সমান কিস্তিতে কর্তন করা হবে।’
শিক্ষকদের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তবে অনিবার্য কারণে যদি কেউ এ অর্থ প্রদানে অপারগ অথবা অনিচ্ছুক হন তবে হিসাব পরিচালক বরাবরে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে লিখিতভাবে জানিয়ে অর্থপ্রদান থেকে বিরত থাকতে পারবেন। আবার কেউ যদি দুই দিনের বেতনের বেশি অর্থপ্রদান করতে চান, তবে হিসাব পরিচালককে জানিয়ে তাও করতে পারবেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির সাধারণ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা আহ্বান করা যাচ্ছে না, পরবর্তীকালে যথাপোযুক্ত সময় এলে সাধারণ সভা আহ্বান করে উপযুক্ত বিষয়টি আমরা আপনাদের অবহিত করবো।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈশ্বিক বিপর্যয়কালে এই মানবিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে আমরা সংবেদনশীলতার সঙ্গে এ কথাই প্রকাশ করতে চাই, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।